যেসব ফল শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, বরং শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারী, সেইসব ফলের মধ্যে অন্যতম হল তরমুজ (Watermelon)। এই ফল তৃষ্ণা নিবারক ফল। এই ফল শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এছাড়াও এই ফল শরীরে জলের অভাব মেটায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে। এমনকি যারা ডায়েটে থাকেন, তাদের জন্য আদর্শ ফল তরমুজ। সকলের ধারণা যে, অনেক জমি না থাকলে তরমুজ চাষ করা যায় না। কিন্তু এই প্রতিবেদনে জানানো হবে, কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে তরমুজ ফলানো (Plantation) যাবে।
তরমুজ ফলানোর আদর্শ সময় হল জানুয়ারি (January) থেকে এপ্রিল (April) মাস। যদিও অন্য সময়েও তরমুজ চাষ করা যায়। তরমুজ চাষের জন্য প্রথমে কয়েকটা ছোট ছোট পাত্র নিয়ে নিন। এবারে পাত্রগুলোতে ভেজা মাটি দিয়ে দিন। এবার এই মাটিতে একটি বা দুটি বীজ পুঁতে দিন। এইভাবে পাঁচ দিন রাখার পরে দেখবেন সেখানে নতুন করে ছোট চারা বেরিয়েছে।
এবারে বড়ো বড়ো কয়েকটি টব নিন। এবারে বড়ো টবগুলোতে মাটি, খড় বা বিচুলি, গোবর সার, বালি দিয়ে দিন। এইভাবেই মাটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে আবার ওপরে বিচুলি দিতে হবে এবং তার ওপর মাটি দিয়ে দিতে হবে। এবারে চারাগুলো ছোট টব থেকে বড় টবে বসিয়ে দিতে হবে।
এইভাবেই দশ দিন রাখলে দেখা যাবে, চারাগুলো বড় হয়ে গেছে। এবারে ন্যাচারাল ফার্টিলাইজার হিসাবে ছোট ছোট মাছ মাটিতে পুঁতে দিন। গাছ বড়ো হলে গাছের নীচের সমস্ত পাতা এবং ডাল ছেঁটে ফেলুন। এবারে ৪০-৫০ দিন অপেক্ষা করলে দেখা যাবে যে, গাছের আগায় লতা এসেছে। এবারে জৈব সার এবং এগ সেল দিতে থাকুন। কারণ ডিমের খোসা তরমুজ গাছকে শামুকের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
৭০ দিন পরে দেখবেন গাছে ফুল এবং সেখান থেকে ছোট ছোট ফল ধরবে। ফল একটু বড় হলে ফলের তলায় ফেস মাস্ক আটকে দিন। এরপর ফল একটু বড়ো হতে শুরু করলে এবং লতা বাড়তে শুরু করলে লতাগুলো বেঁধে দিন মাচার সাথে। ৯০ দিনে পর দেখবেন সুপক্ক তরমুজ হয়েছে গাছে।