Entertainment

অভিনয়ের জন্য ভালো চাকরির ছেড়ে দিয়েছেন পলাশ তথা শিমুলের ‘কুচুটে দেওর’, রইল পর্দার ‘পলাশ’র আসল পরিচয়

অল্পদিনের মধ্যেই ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকটি দর্শক মন জয় করে নিয়েছে। এই ধারাবিকে দেখা যায় বৌমার উপর কিভাবে শ্বশুরবাড়ির লোক অত্যাচার করে। বৌমা শাশুড়ি কিংবা বৌমা ননদের কুটকাচালি এর আগে দেখেছে দর্শক। তবে এই সিরিয়ালে দেওরকেও শিমুলের উপর অত্যাচার করতে দেখা যায়। আর এই দেওরের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা সৌনিক রায় (Sounak Ray)। আজ এই অভিনেতার সম্পর্কেই আপনাদের জানাবো।

Sounak Ray
Sounak Ray

পর্দার পলাশ তথা সৌনিক বেশ চর্চায় রয়েছেন

অভিনেতা সৌনিক রায় কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিক নেজাটিভ চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর চরিত্রের নাম পলাশ। যে কিনা শিমুলের দেওর। তবে এমন দেওর বাংলার দর্শক আগে দেখেনি। কেননা পলাশ নিজের মায়ের কথা শুনে বৌদিকে নানা খারাপ খারাপ কথা শোনায়, অপমান করে। এতদিন হিংসুটে ননদকে দেখলেও, এই প্রথম হিংসুটে দেওরকে দেখতে বাংলার দর্শক। কার্যত এমন নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে চর্চায় রয়েছেন অভিনেতা।

কপালকুণ্ডলা ধারাবিক দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু

অভিনেতা সৌনিক রায় ‘কপালকুণ্ডলা’ (Kopalkundola) সিরিয়ালে আইকনিক চরিত্র নবকুমারের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক মন বেশ জয় করেনিয়েছিল। যে সিরিয়ালটি প্রযোজনা করেছিল রাজ চক্রবর্তর সংস্থা। এরপর তাকে ‘খেলাঘর’ (Khelaghor) সিরিয়ালে নেগেটিভ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। এছাড়া করুণাময়ী রানী রাসমণি, মা মঙ্গলচন্ডী, ঠাকুমার ঝুলি ধারাবাহিকেও তাকে5 অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। তবে তারপর নিয়েছিলেন দীর্ঘ বিরতি। আর বিরতির পর তিনি আবার পর্দায় ফিরলেন ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের হাত ধরে।

Sounak Ray
Sounak Ray

অভিনয়ের জন্য চাকরি ছেড়েছেন অভিনেতা

‘টলিউড ফোকাস কলকাতা’ এক ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অভিনেতা জানান, তিনি অভিনয়ের জন্য চাকরি ছেড়েছেন। আসলে এতদিন তিনি অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন চাকরির জন্য। তিনি একাউন্টান্সি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং একাউন্টান্সির কাজও করেছেন। এতদিন তার কাছে কোনো ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসছিল না, সেকারণে তিনি মাঝে কিছুটা সময় অভিনয় থেকে নিজেকে দূরে করে নিয়েছিলেন। তবে মন মতো এই চরিত্রের হাত ধরে আবার পর্দায় ফিরেছেন সৌনিক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button