শুধু মোদি নয়, নোটবন্দির কাজ আগেও হয়েছে, ৯০% মানুষ জানেন না সেই ইতিহাস

নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৬ সালে বাতিল করা হয়েছিল ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। এরপর সব দিকে খেয়াল রেখে বাজারে আনা হয়েছিল গোলাপি রঙের ২০০০ টাকার নোট। তবে এই ২০০০ টাকার নোট খরচ করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ছে মানুষজন। তাই ফের নোট বন্দি করা হয়েছে ২০০০ টাকার নোট।

২০১৬ এর সাত বছর পর গত শুক্রবারেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে এই নোট বন্দির খবর। জানানো হয়েছে ফের নতুন করে ছাপানো হবে এই দুই হাজার টাকার নোট গুলি।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত দুই হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা করতে বলা হয়েছে সমস্ত ক্রেতাদের কাছে। ফের মানুষ আশঙ্কা করছেন নোটবন্দির। অবশ্য সবাই ২০১৬ সালে এই নোটবন্দির সম্মুখীন হয়েছেন।

২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে বাতিল করা হয়েছিল ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। সবাই এইসময় এটাকে নোটবন্দি ভেবেছিলেন। এবং সবাই মনে করেন এই সময় প্রথম দেশে প্রথম নোটবন্দি হয়।

আসলে তা একেবারেই না। দেশে এর আগেও নোটবন্দি হয়। ইতিহাসে বলা হয় এই নোটবন্দি স্বাধীনতার আগেও হয়েছে। ১৯৪৬ সালে সর্বপ্রথম দেশে এই নোটবন্দি হয়েছিল।সেই সময় দশ হাজার নোট চলন ছিল। এবং সে সময় এই বড়ো অঙ্কের টাকা লেনদেনের অনেক সমস্যা দেখা দিলে সেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। এবং তারপর বাজারে শুধু প্রচলিত ছিল একশো টাকার নোট। এতে লেন দেন করতে বেশ সুবিধা হতো।

এরপর ৩১ বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে ফের হয় নোটবন্দি। সেই সময় কালো টাকার ব্যাবহার থামাতেই নোটবন্দির সিধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালেও কালো টাকার ব্যবসা রমরমিয়ে চলছিল যার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সময় নোটবন্দির ঘোষণা করেন।

২০২৩ এ এসে এই কালো বাজারির জন্য ফের প্রধানমন্ত্রী নোটবন্দির সিধান্ত নেন। আগামী চার মাসের মধ্যে সমস্ত দুই হাজার টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Comment