আপাতত সব সিরিয়ালকে পেছনে ফেলে টিআরপির দিকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকটি। অন্য সমস্ত ধারাবাহিকের সেই গতানুগতিক গল্প থেকে অনেকটাই আলাদা এই ধারাবাহিকের গল্প। ত্রিকোণ প্রেম বা পরকীয়া ছাড়া একটি সুন্দর গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ধারাবাহিক। অনেকদিন পর কিছুক্ষণের জন্য হলেও এই ধারাবাহিকের মাধ্যমেই মানুষ ভুলে থাকতে পারছে নিজের সমস্ত যন্ত্রণা।
পর্দায় শিমুল বা সুচরিতাদের কষ্ট দেখে কোথাও না কোথাও নিজেদের কষ্ট ভুলে থাকতে চাইছেন বহু ভারতীয় গৃহিণী। তবে বিতর্ক প্রথম থেকেই তৈরি হয়েছিল এই ধারাবাহিক ঘিরে যখন শিমুলের ফুলশয্যায় তার শাশুড়ি ছেলের সঙ্গে এক খাটে শুয়ে পড়েছিলেন। একদিকে যেমন অনেকে বলেছিলেন এটা বাস্তব ঘটনা, তেমন অন্যদিকে অনেকেই এটিকে অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেছিলেন। দর্শকদের চাপে পড়ে আস্তে আস্তে পরাগের মা এবং শিমুলের সম্পর্ক এখন অনেকটাই সহজ।
শিমুল ছাড়াও এই ধারাবাহিকের অন্যতম চারটি চরিত্র হলো সুচরিতা, বিপাশা, শীর্ষা এবং প্রতীক্ষা। তবে এনাদের মধ্যেই নাকি একজন ছেড়ে দিচ্ছেন ধারাবাহিক। শিমুলের দেওর পলাশের হবু স্ত্রী অর্থাৎ প্রতীক্ষা নাকি ছেড়ে দিচ্ছেন ধারাবাহিক। প্রতীক্ষার চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী কুয়াশা বিশ্বাস। বিয়ে না হলেও এখন থেকেই তিনি শিমুলের সংসারে মাথা গলিয়ে কথা বলেন এবং শিমুলকে প্রতীক্ষার সঙ্গে তুলনা করা হয় সব সময়।
কিন্তু এবার প্রশ্ন হল কুয়াশা কেন ধারাবাহিক ছেড়ে দিচ্ছেন? সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে তাকে কোন কলটাইম দেওয়া হয়নি। তবে এখনই তিনি ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেনি নিজ মুখে। যদিও কুয়াশা যে চরিত্রে অভিনয় করছে সেই চরিত্রের সময় এই ধারাবাহিকে এখন অনেকটাই কম কিন্তু অন্য কোন মনোমালিন্যের জন্য কি কুয়াশা সরে দাঁড়াচ্ছেন ধারাবাহিক থেকে তা এখনো পরিষ্কার হয়নি। আগামী দিনে প্রতীক্ষাকে দেখতে পাওয়া যাবে কিনা সেটা আমরা ধারাবাহিকের সঙ্গে সঙ্গেই জানতে পারবো।