Uttam Kumar: ভরপেট খাবার খেয়ে, নুন মাখানো রসগোল্লা খেতেন, উত্তম কুমারের খাবারের খুঁতখুঁতানি শুনলে অবাক হবেন

এক এক করে ৪৩ টা বছর পার হয়ে গেছে। ১৩৮০ সালের আজকের দিনে মহানায়ক উত্তম কুমার (Mahanayak Uttam Kumar) ঢলে পড়েছিলেন মৃত্যুর কোলে। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর অভিনয়ের ধারে কাছে কেউ পৌঁছাতে পারেনি। এক নক্ষত্রের এইভাবে চলে যাওয়া এত বছর পরেও কেউ মেনে নিতে পারেনি।

উত্তম কুমার একজন অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন ভোজন বিলাসী মানুষ। নায়িকার সুপ্রিয়া দেবী নিজের হাতে তার জন্য রান্না করে নিয়ে যেতেন। খাবারের বহর দেখে চমকে যেতেন উত্তম কুমার। মাছ, মাংস থেকে শুরু করে ফল ও মিষ্টি সবকিছুই থাকত মেনুতে। উত্তম কুমার খাবারের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে। খাবার মেনু দেখে সন্তুষ্ট হলে তবে এই চেয়ার টেনে খেতে বসতেন।

আকাশে গ্রহ, নক্ষত্র অনেক রয়েছে। কিন্তু সূর্য একটাই। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সেই সূর্য ছিলেন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। যাঁর আলোতেই বছরের পর বছর আলোকিত হয়েছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তাই স্বাভাবিকভাবেই উত্তম কুমারের মৃত্যু দিবসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন সিনেমা প্রেমী মানুষেরা। আজ সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গেছে তাঁকে স্মরণ করে লেখা বিভিন্ন পোস্টে (Uttam Kumar death anniversary)। কেউ জানিয়েছেন অজানা কাহিনী আবার কেউ শেয়ার করেছেন আবেগপ্রবণ বার্তা। অনেকেই তাঁর সিনেমার বিখ্যাত গান ও ডায়লগ লিখে পোস্ট করেছেন।

কেবলমাত্র আগের প্রজন্মের মানুষেরাই যে তাঁকে মনে রেখেছেন তা কিন্তু নয়। বর্তমান প্রজন্মের মানুষও তাঁকে সমানভাবেই মান্যতা দেয়। উত্তর কুমার ‘এভারগ্রিন’ একজন অভিনেতা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁর নাম একই ভাবে সমাদৃত। এমন একজন অভিনেতার ক্যারিয়ারের শুরুতেই পরপর ৭ টি মুভি বক্স অফিসে ফ্লপ হয়েছিল। আজ তিনি মহানায়ক হলেও, সেই সময় তাঁকে ফ্লপ মাস্টার বলা হত।

এরপর একের পর এক ব্লকবাস্টার মুভি টলিউড কে উপহার হিসেবে দেন মহানায়ক। নিজের জীবনকালে ২১১ টি মুভিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মুভিতে পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বলিউডেও কাজ করেছিলেন। অবশ্য সেখানে সফলতার মুখ দেখতে পাননি। তবে বলিউডের অনেক তাবড় তাবড় তারকারা মহানায়কের ভক্ত ছিলেন।

এই ভোজনবিলাসী মানুষ খুব মেপেই খেতেন। শরীরের গঠন ঠিক রাখার কথা ভেবেই প্রতিটি পদ অল্প অল্প করে চেখে দেখতেন। তবে খাওয়ার শেষে তাঁর মিষ্টি চাইই চাই। রোজ তিনি একটি করে রসগোল্লা খেতেন। কিন্তু সরাসরি মিষ্টি খাওয়া যাবে না বলে রসগোল্লায় নুন মাখিয়ে খেতেন। যাতে মেদ আর সুগার না বাড়ে।

১৯৮০ সালে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমাতে কাজ করার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। শহর কলকাতার এক নামি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে সকলকে কাঁদিয়ে পরলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। এটিই ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ মুভি।

Leave a Comment