মাঝরাতে সাবিত্রীর বাথরুমে লুকাতে বাধ্য হন বাংলার ‘মহানায়ক’ উত্তম কুমার! এতদিন পর ফাঁস হল মহানায়কের সিক্রেট

কি এমন হয়েছিল যে, এক সময় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন উত্তম কুমার। শুনে অবাক হলেন তো? সেদিন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও এভাবেই চমকে উঠেছিলেন। কারণ পর্দার ‘অপুদা’র টক শো ‘অপুর সংসার’এ এসে এমনটাই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কেন মাঝরাতে সাবিত্রীর বাথরুমে লুকাতে বাধ্য হন বাংলার ‘মহানায়ক’ উত্তম কুমার কে?‌ এর কারণ জানেন না অনেকেই

Uttam Kumar

এই শো-তে বহু তারকা এসেছিলেন। তারা শেয়ার করেছেন নিজেদের জীবনের নানান জানা অজানা কথা। তেমনই একটি এপিসোডে হাজির হয়েছিলেন একসময়ের বাংলা সিনেমায় উত্তমকুমারের জনপ্রিয় দুই নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও মাধবী মুখোপাধ্যায়।

অভিনেত্রী সাবিত্রীর বলেছেন, তার বাবা নাকি ছিলেন ভীষণ কড়া। অভিনয় করুক আর যাই করুক, রাত ১০ টার মধ্যে বাড়ি ফিরতেই হত তাকে। রোজ রাতে নিয়ম করে নিজের হাতে তালা লাগাতেন বাড়িতে। এই কথার মাঝেই সাবিত্রীদেবীকে শাশ্বত প্রশ্ন করেন, উত্তমকুমারকে বাড়ির বাথরুমে কেন লুকোতে হয়েছিল?

Uttam Kumar

জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘ওই যে রাত ১০টার পর বাড়িতে এসেছিলেন। তারপর আর বের হতে পারেননি তিনি। বাথরুমে ঢুকে বলেন, সাবু আমি এখানে। বাবাকে খুব ভয় পেতেন তিনি।’ যদিও সাবিত্রীদেবীর বাড়ির লোকের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল মহানায়কের। প্রায়শই আড্ডা দিতে আসতেন তিনি।

Uttam Kumar

তেমনই একদিন গেছিলেন আড্ডা দিতে। সেই আড্ডায় সাবিত্রী, তার দিদি, জামাইবাবু, মা সবাই ছিলেন, শুধু তার বাবা নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। বেশ রাত হয়ে যায়। হঠাৎ-ই সাবিত্রীদেবীর বাবার ঘুম ভাঙে।

দরজার খিল খোলার আওয়াজ পেতেই উত্তম গিয়ে আশ্রয় নেন বাথরুমের চৌবাচ্চায়। তখন সাবিত্রী চ্যাটার্জির সঙ্গে উত্তমকুমারের প্রেম নিয়েও ব্যাপক চর্চা হতো। পেপারে লেখালেখি ও হয় অনেক কিছু। তাই নিয়ে উত্তমকুমারের বাড়িতেও শুরু হয় ঝামেলা। তবে সাবিত্রীর বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল উত্তম কুমারের।

Leave a Comment