
এক এক করে ৪৩ টা বছর পার হয়ে গেছে। ১৩৮০ সালের আজকের দিনে মহানায়ক উত্তম কুমার (Mahanayak Uttam Kumar) ঢলে পড়েছিলেন মৃত্যুর কোলে। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর অভিনয়ের ধারে কাছে কেউ পৌঁছাতে পারেনি। এক নক্ষত্রের এইভাবে চলে যাওয়া এত বছর পরেও কেউ মেনে নিতে পারেনি। প্রায় অর্ধশতক কেটে গেলেও সিনেমা জগত খুঁজে পায়নি দ্বিতীয় ‘মহানায়ক’ (Mahanayak Uttam Kumar death anniversary)। টলিউডে বহু অভিনেতা এসেছে ও গেছে কিন্তু কেউই মহানায়ক হয়ে উঠতে পারেনি। অনেকেই ‘মহানায়ক’ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে দর্শকদের মনে হাজার একটা প্রশ্ন। এই প্রশ্ন কখনোই ছিল না উত্তম কুমারকে নিয়ে।
আকাশে গ্রহ, নক্ষত্র অনেক রয়েছে। কিন্তু সূর্য একটাই। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সেই সূর্য ছিলেন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। যাঁর আলোতেই বছরের পর বছর আলোকিত হয়েছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তাই স্বাভাবিকভাবেই উত্তম কুমারের মৃত্যু দিবসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন সিনেমা প্রেমী মানুষেরা। আজ সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গেছে তাঁকে স্মরণ করে লেখা বিভিন্ন পোস্টে (Uttam Kumar death anniversary)। কেউ জানিয়েছেন অজানা কাহিনী আবার কেউ শেয়ার করেছেন আবেগপ্রবণ বার্তা। অনেকেই তাঁর সিনেমার বিখ্যাত গান ও ডায়লগ লিখে পোস্ট করেছেন।
কেবলমাত্র আগের প্রজন্মের মানুষেরাই যে তাঁকে মনে রেখেছেন তা কিন্তু নয়। বর্তমান প্রজন্মের মানুষও তাঁকে সমানভাবেই মান্যতা দেয়। উত্তর কুমার ‘এভারগ্রিন’ একজন অভিনেতা। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁর নাম একই ভাবে সমাদৃত। এমন একজন অভিনেতার ক্যারিয়ারের শুরুতেই পরপর ৭ টি মুভি বক্স অফিসে ফ্লপ হয়েছিল। আজ তিনি মহানায়ক হলেও, সেই সময় তাঁকে ফ্লপ মাস্টার বলা হত।
এরপর একের পর এক ব্লকবাস্টার মুভি টলিউড কে উপহার হিসেবে দেন মহানায়ক। নিজের জীবনকালে ২১১ টি মুভিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মুভিতে পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বলিউডেও কাজ করেছিলেন। অবশ্য সেখানে সফলতার মুখ দেখতে পাননি। তবে বলিউডের অনেক তাবড় তাবড় তারকারা মহানায়কের ভক্ত ছিলেন।
১৯৮০ সালে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমাতে কাজ করার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। শহর কলকাতার এক নামি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে সকলকে কাঁদিয়ে পরলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। এটিই ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ মুভি।