ডালহৌসি চত্বরে একটি পাইস হোটেল চালান তিনি। সেখান থেকেই রাতারাতি ভাইরাল (Viral) হয়েছিলেন ‘স্মার্ট দিদি’ (Smart Didi) নন্দিনী। ফেসবুক হোক বা ইউটিউব, সব জায়গায় দেখা মিলতো মমতা গাঙ্গুলী (Mamata Ganguly) ওরফে নন্দিনীর।সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা একটু অ্যাক্টিভ থাকেন কমবেশি তাঁরা প্রত্যেকেই নন্দিনী দিদিকে (Nandini Didi) চেনেন। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে রাতারাতি তারকা হয়ে যান তিনি।
ছোট্ট একটি পাইস হোটেল চালাতে চালাতে সোজা ‘দিদি নম্বর ওয়ান’র মঞ্চে পৌঁছে যান নন্দিনী। সেই সঙ্গেই বাড়ছিল তাঁর জনপ্রিয়তা এবং পাইস হোটেলের ভিড়। তবে শুধুই যে জনপ্রিয়তা বাড়ছিল তাই নয়, বেশ কিছু বিতর্কেও নাম জড়ায় নন্দিনীর। তবে সময়ের সঙ্গে সেসব বিতর্ক ভুলেছে সাধারণ মানুষ।
ঝামেলা-ঝক্কিকে সাইড করে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন ভাইরাল নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)। এখন নন্দিনীর পাইস হোটেলে আগের মতো ইউটিউবারদের ভিড় হয় না। এবার নিজেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেললেন তিনি। চ্যানেলের নাম রেখেছেন ‘নন্দিনী দিদি অফিশিয়াল’। ইতিমধ্যেই ১৫ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার হয়ে গিয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’এ গিয়ে ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনী (Nandini Didi) জানিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা আগে বেশ সচ্ছল ছিল। বাবার নিজস্ব ব্যবসা ছিল। নন্দিনী নিজে ফ্যাশান ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েছেন। তবে নোটবন্দির সময় বদলে যায় সবকিছু।সেই সময় বদলে যায় সবকিছু। বিক্রি হয়ে যায় নন্দিনীর বাড়ি।
এমনকি পেট চালাতে মায়ের গয়নাও বিক্রি করতে বাধ্য হন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ২০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে ডালহৌসিতে চাকরি নেন নন্দিনীর বাবা। ‘স্মার্ট দিদি’ নিজেও চাকরি পেয়ে কলকাতার বাইরে চলে গিয়েছিলেন। ওদিকে আবার ডালহৌসিতে নিজের পাইস হোটেল খোলেন নন্দিনীর বাবা। তবে আচমকা বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় কলকাতায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে। সংসারের হাল টানতে পাইস হোটেলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। বাকিটা তো এতদিনে সকলেই জেনে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দিদি নম্বর ওয়ান’ নিয়ে নিজের চ্যানেলের প্রথম ভিডিও বানিয়েছেন নন্দিনী (Nandini Didi)।ইতিমধ্যে নিজের হাতে রান্না করা থেকে, মেলার ভ্লগ, বিয়েবাড়ির খাবারের ভিডিও, ট্রাভেল ভ্লগিং করেছেন নন্দিনী। তাঁর শেয়ার করা ভিডিওয় হাজার থেকে লাখ খানেক ভিইউও হয়। নন্দিনীর এই নতুন অবতার বেশ ভালোলেগেছে তাঁর অনুরাগীদের।