Viral

IAS Officer: সাইকেলের পাংচার সারাতেন, ছিলনা স্কুলের দেওয়ার মতো ফি-র টাকা, সেই ছেলেই আজ IAS অফিসার

সাইকেল সারাতেন সেখান থেকে আজ IAS অফিসার । একজন সফল ব্যক্তির পেছনে থাকে তার অক্লান্ত পরিশ্রম।

প্রত্যেক মানুষের সফলতার পেছনে থাকে অক্লান্ত পরিশ্রম। আর তার নিজের উপর আত্ম বিশ্বাস। নিজের লক্ষ্য স্থির থাকলে সে সাফল্য অর্জন করবেন। সাহস, নিষ্ঠার সাথে যদি কোনো মানুষ তার লক্ষ্য স্থির রাখতে পারে সে অবশ্যই সফল হবেন। আজ তেমন একজন মানুষের কথা জানবো। যিনি একসময় একটি সাইকেল সারানোর দোকানে কাজ করতেন। পরিবারের সাথে সাথে নিজের পড়াশোনার খরচ ও চালাতেন। তিনি আজ তার কঠোর পরিশ্রম এর জন্য একজন IAS (Indian Administrative Service) অফিসার হয়ে রীতিমতো নজির গড়েছেন।

বর্তমানে IAS অফিসার বরুন বারানওয়ালের প্রসঙ্গে কথা বলব। বরুন বারানওয়ালের একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন তাঁর বাবা সাইকেল সারানোর কাজ করতেন। বেশ ভালো দিন কাটে। তবে ২০০৬ সালে হঠাৎ তার বাবার হার্ট অ্যাটাকে অকালেই প্রাণ হারিয়েছেন। সেই সময় থেকেই বরুন বারানওয়ালের পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব তার উপর এসে পরে এবং তিনি সেই দায়িত্ব ভালো ভাবে পালন করেন।

Ias Officer: সাইকেলের পাংচার সারাতেন, ছিলনা স্কুলের দেওয়ার মতো ফি-র টাকা, সেই ছেলেই আজ Ias অফিসার

তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি তাঁর বাবার সেই সাইকেল সারানোর দোকানটিতেই কাজ শুরু করে। এবং তার পাশাপাশি পড়াশোনা করে যান । এরপর তিনি দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ভালো ভাবে পাশ করেন। শহরের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তবে আর্থিক অভাবে তিনি পরবর্তীতে পড়াশোনা চালাতে পারেননি। সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পালন করায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। আর্থিক অভাবে তিনি তাঁর পরবর্তী পড়াশোনা ভর্তি হতে পারেননি । এমতাবস্থায় তার পরিচিত একজন ডাক্তার ডাঃ কাম্পিল বরুনের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। এবং সে তাকে তার পরবর্তী পড়াশোনা করার জন্য সমস্ত রকম সাহায্য করেন।

বরুন প্রথমে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। তবে সেখানে অতিরিক্ত খরচের জন্য পড়ে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। তবে তিনি সকালে কলেজ করে রাতে সাইকেল সারানোর কাজ ও করতেন । এমন ভাবে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রথম সেমিস্টারের প্রথম হন এবং সেখান থেকে স্কলারশিপ পান।

Ias Officer: সাইকেলের পাংচার সারাতেন, ছিলনা স্কুলের দেওয়ার মতো ফি-র টাকা, সেই ছেলেই আজ Ias অফিসার

এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরী পান। তবে তার ইচ্ছা ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। আর তার লক্ষ্য স্থির ছিল। আর তার কঠোর পরিশ্রমের পর ২০১৩ সালে UPSC পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে ৩২ তম স্থান অধিকার করেন। এবং তিনি একজন IAS অফিসার হয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button