কী-বোর্ডের মধ্যে অক্ষরগুলো এলোমেলো থাকে কেন? ৯৯% মানুষ বলতে পারেন না

নিজস্ব প্রতিবেদন: আধুনিকতার যুগে প্রত্যেকের বাড়িতে এখন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন। আর কি বোর্ড এই সব ক্ষেত্রেই অপরিহার্য। কিবোর্ড যেন মানুষের একটা অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত টাইপরাইটার (Typewriter) যন্ত্র থেকেই কিবোর্ড ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল। ১৮৬৮ সালে ক্রিস্টোফার লাথাম শোলেস (Christopher Latham Sholes) প্রথম কিবোর্ড আবিষ্কার করেছিলেন।

এরপরে ১৮৭৭ সালে ‘রেমিংটন এন্ড সন্স কোম্পানি’ (Remington Company) কিবোর্ডের বাণিজ্যিক‌ পত্তন করে। টাইপরাইটার থেকে কম্পিউটারের ক্ষেত্রেও এক‌ই ধরণের কিবোর্ড ব্যবহার করা শুরু হয়। প্রায় অনেক মানুষই কিবোর্ড ব্যবহার করে। কিন্তু কিবোর্ডএর অক্ষরগুলো ক্রম অনুযায়ী থাকে না। কিন্তু কিবোর্ডের অক্ষরগুলো বর্ণ অনুযায়ী থাকে না কেন সে বিষয়ে অনেকেই হয়তো জানে না। কিবোর্ড আবিষ্কারের সময় টাইপরাইটার ছিল এক মেকানিক্যাল ডিভাইস।

সমস্ত অক্ষর পর পর থাকলে যন্ত্র জ্যাম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে অক্ষর উল্টোপাল্টা ভাবে সাজানো হয়। সমস্ত অক্ষর পর পর থাকলে টাইপ করার সময় গতিও কমে যাবে। আরেক উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ‘F’ ও ‘J’ অক্ষরের নীচে থাকা দাগ। প্রাথমিকভাবে এই বিষয়টি চোখে না পড়লেও এর পিছনে রয়েছে নির্দিষ্ট কারণ। যারা নিয়মিত কাজ করে তাদের মূলত কম্পিউটার দিকে তাকিয়ে কাজ করতে হয়। তাই কি বোর্ড এর দিকে না তাকিয়ে যাতে কাজ করা যায় তার জন্য দাগ রাখা হয়।

এই একই কারণে 5 সংখ্যার নিচেও দাগ রাখা হয়েছে। টাইপিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী বাঁ হাতের তর্জনী থাকবে ‘F’- এর ওপর, ডান হাতের তর্জনী থাকবে ‘J’ -এর ওপর ও বুড়ো আঙুল থাকবে স্পেসবারের ওপর। এভাবে টাইপ করলে লেখার স্পিড টাও বাড়ে এবং ভুলও সাধারণত হয় না। আর এই কারণের জন্যই কি বোর্ড এর অক্ষর গুলো এলোমেলো করে দেওয়া থাকে।

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker