কিংবদন্তি অভিনেতা হয়েও মেলেনি যোগ্য সম্মান, দারিদ্র্যতার লোকের ভিক্ষাও করেছেন তুলসী চক্রবর্তীর বিধবা স্ত্রী!

রূপোলী পর্দার সিনেমার যুগ ছিল বাংলা বিনোদন জগতের শ্রেষ্ঠ যুগ। সেই যুগে বাংলা ফিল্ম জগত একদিকে যেমন উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, শর্মিলা ঠাকুরের মতো মূল চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উপহার দিয়েছে। তেমনই পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করা বহু বিখ্যাত তারকার জন্ম হয়েছে সেই যুগে। সে যুগে বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতার মধ্যে প্রথম দিকে রয়েছেন তুলসী চক্রবর্তী। কিন্তু টলিপাড়ায় পাননি তিনি যোগ্য সন্মান। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর বিধবা স্ত্রীকে ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটাতে হতো।

১৮৯৩ সালে জন্ম হয়েছিল তুলসী চক্রবর্তীর। দরিদ্র পরিবারে জন্ম তাঁর। তীব্র দারিদ্র্যতা সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। যাত্রাপালা থেকে নাটকের মঞ্চে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন প্রথমে। ১৯৩২ সালে তিনি প্রথম সিনেমায় আসেন অভিনেতা হিসেবে। তাঁর প্রথম ছবি ছিল ‘পুনর্জন্ম’। পঞ্চাশের দশকে একই বছরে ১২টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল তুলসী চক্রবর্তীর।

এতো জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও দারিদ্রতা যায়নি তাঁর। পরবর্তীতে কাজ যাতে না চলে যায় সেই জন্য অল্প পারিশ্রমিকেই তিনি কাজ করতে রাজি হয়ে যেতেন। ফলে বেশি কিছু রেখে যেতে পারেননি। ৬২ বছর বয়সে তুলসী চক্রবর্তী মারা যান। আর্থিক সংকটে পড়েন তাঁর বিধবা স্ত্রী। ফলে একসময় ভিক্ষা পর্যন্ত করতে হয়েছিল তাঁকে।এমনকি তুলসী চক্রবর্তীর পাওয়া মেডেল বিক্রি করতে হয়েছিল তাঁর স্ত্রীকে। তবে মিঠুন চক্রবর্তী এবং কিছু আর্টিস্ট ফোরাম তুলসী চক্রবর্তীর স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker