বাংলার মহারাজাকে আর দেখা যাবে না বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে। সম্ভবত ১৮ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে বিসিসিআই সভাপতি পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) মেয়াদ ফুরাবে। পরবর্তীতে এই বিসিসিআই-এর সভাপতি পদে দেখা যাবে রজার বিনিকে। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য রজার বিনিই হবেন পরবর্তী বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই কয়েকটা বছরে যথেষ্ট দায়িত্বের সাথে সমস্ত কাজ সামলেছেন। এই প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, তিনি খেলোয়াড় এবং প্রশাসক হিসেবে ক্রিকেট খেলার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, এটিকে তিনি নিজের সৌভাগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি ৫ বছর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি ছিলাম। এরপর তিন বছর ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি হিসেবেও মেয়াদ সম্পূর্ণ করলাম। কেউ যেমন চিরকাল ক্রিকেট খেলতে পারে না, ঠিক তেমনই প্রশাসক হিসেবেও থাকতেও পারে না। আমি ক্রিকেটার এবং প্রশাসক হিসেবে একটা পয়সার দুটো পিঠই দেখেছি।”
একজন প্রশাসক পদে কেউ চিরকাল থাকতে পারেন না, সেই কথাই তিনি উল্লেখ করেন। তবে জানা গেছে যে, বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) শীর্ষ পদে থাকা ব্রিজেশ প্যাটেলের বয়স এই মাসে ৭০ হতে চলেছে। তাই IPL চেয়ারম্যানের পদটি ফাঁকা হয়ে যাবে। এই পদে বসার জন্য সৌরভ গাঙ্গুলীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তিনি জানিয়ে দেন যে, তিনি যেহেতু ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি ছিলেন, তাই IPL চেয়ারম্যানের পদের প্রস্তাব তিনি গ্রহণ করতে পারবেন না।
এতো কিছুর পরে স্যোশাল মিডিয়ায় সৌরভ গাঙ্গুলীকে ক্রমাগত আক্রমণ করা হচ্ছে। বিশেষত কোহলি ভক্তদের মতে, সৌরভ গাঙ্গুলীকে আদতে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কারুর মতে, সৌরভ গাঙ্গুলী জোর করে নিজের পদ আঁকড়ে রাখার চেষ্টা করছেন। আবার কয়েকজনের মতে, বিরাট কোহলির খারাপ পারফরম্যান্সের পিছনে সৌরভ গাঙ্গুলীর হাত ছিল তাই সৌরভ গাঙ্গুলীর এই পরিণতি।
বেশকিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নাকি বৈঠকে আক্রমণ করা হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে অরুণ ধুমল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোভিডের সময় সৌরভ গাঙ্গুলী যেভাবে সবকিছু সামলেছে, বোর্ড পরিচালনা করেছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। এমনকি তিনি বলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে বোর্ডে কোনও অভিযোগ হয়নি।