“কিচ্ছু চাইনি আমি আজীবন ভালোবাসা ছাড়া”– মানুষের জীবনে সত্যিই সবচেয়ে বড়ো পাওনা হলো ভালোবাসা। খ্যাতি, যশ, সম্পত্তি যতো যাই থাক না কেন, ভালোবাসা না পেলে জীবন বৃথা। বাংলা ইন্ড্রাস্টিতে এই মুহূর্তে যেসব অভিনেতা বাংলার দর্শকদের ভালোবাসায় পরিপূর্ণ রয়েছেন সবসময়, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
চলচ্চিত্র প্রেমী দর্শকদের প্রাণভরা আশীর্বাদ তাঁর সাথে রয়েছে।তাই হয়তো কখনো বোমকেশ কখনো বিবাহ অভিযানের সরলার প্রেমিক আবার কখনো দ্বিতীয় পুরুষের খোকা হিসেবে তাঁকে আমরা দেখতে পাই। অগনিত মহিলা ভক্ত তাঁর। তবে শুধু ভক্ত নয়, মেয়েদের কাছে তিনি বং ক্রাশ। তাঁর এক একটা ছবি, এক একটা কথা মহিলাদের বুকে ঝড় তোলে। তবে শুধু মহিলা বললে চলবে কেন? তাঁর পুরুষ ভক্তের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
অনির্বান ভট্টাচার্যের ৩৪ বছর বয়স। ২০০৫ সাল থেকে যুক্ত রয়েছেন অভিনয় জগতের সাথে প্রথমে থিয়েটার করতেন চুটিয়ে। ২০০৫ সাল থেকে তিনি থিয়েটার জগতের সঙ্গে যুক্ত। এরপর ২০১৩ সালে ‘কোলকাতার কিং’ ছবির মাধ্যমে তার অভিনয় জগতে আসা। মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনয় করার জন্য, চোখে ছিল স্বপ্নের হাতছানি। এখন তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয় হয়েছে। তিনি এখন নামকরা তারকা।
অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘ঈগল চোখ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। এরপর সৃজিত মুখার্জি তাকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করেন। সৃজিত মুখার্জীর বহু ছবিতে অভিনয় তো করেছেন, তবে সৃজিত মুখার্জীর ছবিতে গান গেয়ে আরোও জনপ্রিয় হন। ‘শাহ জাহান রিজেন্সি’-তে তাঁর গাওয়া গান ‘কিছু চাইনি আমি’ হয়ে ওঠে প্রত্যেকটা বাঙালির জন্য প্রেম, বিরহের প্রধান সঙ্গী। এই গান করে তিনি বেস্ট প্লে ব্যাক সিংগার হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন।
যাই হোক গতবছর ২৬শে নভেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তিনি বিয়ে করেন পাত্রী মধুরিমা গোস্বামীকে। প্রচুর মেয়েদের ইর্ষার কারণ তাঁর স্ত্রী মধুরিমা চক্রবর্তী। সল্টলেকের ন্যাশনাল মাইম ইনস্টিটিউটে নিজেদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন তারা। কোনোরকম জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তার বদলে খুব সাধারণ বিবাহ করেন তারা। দীর্ঘ বারো বছর ধরে একে অপরকে চেনেন।
মধুরিমা এবং অনির্বাণ দুজনেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করে দুজনেই থিয়েটার করেন। যাই হোক অনির্বাণ ভট্টাচার্যের স্ত্রীও যথেষ্ট গুনবতী কন্যা। আসলে মধুরিমা হলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত মুকাভিনয় শিল্পী নিরঞ্জন গোস্বামীর কন্যা। মধুরিমা নিজেও একজন নাট্যশিল্পী। দীর্ঘদিন এই জুটি ‘হাতিবাগান সঙ্ঘারাম’ দলে একসাথে কাজ করেছেন। এখনও মধুরিমা থিয়েটার জগতের সাথে যুক্ত। যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি থিয়েটার জগতে। যাইহোক অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং মধুরিমা গোস্বামীর বিয়েও দেখতে হয়ে এক বছর হয়ে গেল। দু’জনেই সুখে থাকুক-এটাই সকলের প্রার্থনা।