আমরা জীবনে অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কত কিছুই না করে থাকি। অনেকে আবার এই অর্থনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর নির্ভর করে থাকে। এখন আবার অনেকে জ্যোতিষ শাস্ত্রের পাশাপাশি বাস্তুশাস্ত্রের প্রতি ও বিশ্বাসী হয়ে উঠছে। কিন্তু আবার অনেকে কুসংস্কার মনে করে এগুলি কে।
কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এক শাস্ত্র। যা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ মেনে চলেন। এখন আবার অনেকেই বাস্তুশাস্ত্র মেনে নিজেদের ঘরবাড়ি তৈরি করে থাকেন। কারণ বাস্তুশাস্ত্র মেনে ঘরবাড়ি বানালে বা ঘরের জিনিসপত্র আসবাবপত্র সব সেই অনুযায়ী রাখলে অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মানসিক শান্তি ও মেলে। আর এই বস্তু সাস্ত্রের আরেকটি শুভ চিহ্ন হলো স্বস্তিক চিহ্ন।
এই স্বস্তিক চিহ্ন হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে অত্যন্ত শুভ বলা চলে। এই স্বস্তিক চিহ্নেরও আবার বিভিন্ন ভাগ আছে বিভিন্ন স্বস্তির জন্য বিভিন্ন রকম ব্যবহারও আছে। সেগুলি হল আপনি যদি অষ্টধাতুর স্বস্তিক চিহ্ন আপনার বাড়ির প্রবেশদ্বারে আঁকতে পারেন তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত অর্থনৈতিক কষ্ট দূর করে জীবনকে সুখ ও সমৃদ্ধি দিয়ে ভরিয়ে তুলবে। এছাড়াও আলতা এবং সিঁদুর দিয়ে যদি স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে পারেন প্রবেশদ্বারের সামনে তাহলে সে ক্ষেত্রে মা লক্ষ্মীকে নিয়ন্ত্রণ জানাতে সাহায্য করবে।
আর মা লক্ষ্মী কে আমন্ত্রণ জানানো মানে আপনার জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। আবার তামা দিয়ে তৈরি স্বস্তিক চিহ্ন আপনি আপনার বাড়িতে লাগাতে পারেন তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। এখন এইসব কথাগুলি অনেকে কুসংস্কার ভেবে মনে করতে পারেন। কিন্তু যারা কুসংস্কার না ভেবে এই নিয়মগুলি করতে পারেন তাহলে আপনার জীবনে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় অর্থনৈতিক কষ্ট দূর হয়ে যাবে। আপনার জীবনে নেমে আসবে শান্তি।