অত্যধিক গরমের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গ্রীষ্মকালীন ছুটির ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারের তরফে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২ মে থেকে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ার কথা। তবে অনেক মহলেই প্রশ্ন ওঠে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ বইছে এখন। এই আবহে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে নিয়ে এসে লাভ কী? এই পরিস্থিতিতে এবার সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অব্যাহত থাকবে গরমের দাপট। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গজুড়ে চলবে তাপপ্রবাহ। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ। পয়লা বৈশাখে ১৪ জেলায় ৪০ ডিগ্রি ছাড়ায় তাপমাত্রা। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কাঠফাটা রোদ আর গরম হাওয়া। গত কয়েকদিন ধরেই এমন আবহাওয়ার সাক্ষী থাকছে বঙ্গবাসী। কলকাতায় বেলা বাড়লেই লু বইছে।
গত ১০ বছরের মধ্যে, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল কলকাতায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘর ছুঁয়েছিল। তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস ছিল, তাতে এবারও পয়লা বৈশাখে কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছোঁয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আচমকা বদলাতে থাকে আবহাওয়া। রোদের তেজ কমে গিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যায়। বাতাসে জলীয় বাষ্প ঢুকতে থাকায়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় এদিন কিছুটা হলেও কমেছে তাপমাত্রা। দেখা যায়নি তাপপ্রবাহের দাপট।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,’এই সপ্তাহটা বিশেষ করে, আবহাওয়া দফতরের একটি পূর্বাভাস রয়েছে। এই সপ্তাহ সোম থেকে শনি সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করার কথা বলছি। আমাদের সরকার এখনই বিজ্ঞপ্তি দেবে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করতে বলেছি। সরকার-বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কেও ছুটি ঘোষণা করতে বলেছি। হিটস্ট্রোকে মানুষ যাতে বিপদে না পড়ে দেখতে হবে।’