যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসে ISL–র ডার্বি দেখার ইচ্ছা তাহলে অপূর্ণই রয়ে গেল, প্রয়াত মোহনবাগান অন্ত প্রাণ অনির্বাণ

২৮ অক্টোবর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসে ISL–র ডার্বি দেখার ইচ্ছা তাহলে অপূর্ণই রয়ে গেল মোহনবাগান (Mohun Bagan) প্রেমী অনির্বাণ নন্দীর।

দল মত নির্বিশেষে সকলেই চেষ্টা করেছিল তাঁকে বাঁচানোর। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। মৃ-ত্যুর কাছে পরাজিত হলেন অনির্বাণ নন্দী (Anirban Nandi)। ২৮ অক্টোবর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বসে ISL–র ডার্বি দেখার ইচ্ছা তাহলে অপূর্ণই রয়ে গেল মোহনবাগান (Mohun Bagan) প্রেমী অনির্বাণ নন্দীর।

শুক্রবার মৃ-ত্যু বরণ করলেন মোহনবাগানের সমর্থক অনির্বাণ নন্দী। বিকল হয়েছিল তাঁর দুটো কিডনিই। এই বিকল কিডনিই তাঁর মৃ-ত্যুর কারণ হল। সবুজ মেরুন জার্সি পরে মোহনবাগানের পতাকা হাতে উত্তেজিত কন্ঠে আর দেখা যাবে অনির্বাণকে। মোহনবাগানের ম্যাচগুলোতে গ্যালারি যেন অনির্বাণকে ছাড়া খাঁ খাঁ করবে।

অনির্বাণ নন্দীর বেঁচে থাকার রসদ ছিল মোহনবাগান। অনেকদিন আগে হারিয়েছিলেন বাবা–মাকে। তাই সবুজ মেরুনকেই বেঁচে থাকার রসদ বানিয়েছিলেন তিনি। বহুদিন ধরে তিনি ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। বিকল হয়েছিল দুটো কিডনিই। তাই প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন ছিল। এই কারণেই কলকাতা থেকে চিকিৎসার জন্য ভেলোরে গিয়েছিলেন। সেখানকার ডাক্তাররাও জানিয়ে দেন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে।

কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপন করতে যে অর্থের প্রয়োজন, সেটা কে দেবে? বাবা–মা তো নেই। আত্মীয়রাও সাহায্য করেনি তেমনভাবে। কিন্তু এইসময় পাশে এসে দাঁড়ায় তাঁর কিছু বন্ধু তথা মোহনবাগানের সমর্থকরা। স্যোশাল মিডিয়ায় বিশেষ করে বিভিন্ন মোহনবাগান ফ্যানপেজে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়। সাহায্যও মেলে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

অষ্টমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে পুরী বেড়াতে গিয়ে বুধবার কলকাতায় ফিরেছিলেন অনির্বাণ। শুক্রবার এন্টালিতে নিজের বাড়িতেই মৃ-ত্যু হয় তাঁর। তবে মৃ-ত্যুর আগে জটিল রাজনীতির চক্রব্যূহে পরতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর অসুখের খবর শুনে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত তাঁকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু অনির্বাণ নন্দীকে চিকিৎসায় সাহায্য করায় দেবাশিস দত্ত সাহায্যের হাত বাড়াননি। বহুদিন ধরে ডায়ালিসিস চালিয়ে চিকিৎসার খরচ সামলাতে পারছিলেন না অনির্বাণ।

এই মোহনবাগান ভক্ত গেছিলেন দাদাগিরিতেও। সেখানে গিয়েও নিজের দলের সমর্থনে বিভিন্ন কথা বলেন। এমনকি একবার গোয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনির্বাণ। পরে অবশ্য ছেড়েও দেয়। এই মোহনবাগান অন্ধভক্তের মৃ-ত্যু শোকের ছায়া বয়ে এনেছে সকলের মনে।

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker