এই নিয়মগুলো মেনে চললে খুব সহজেই জীবন থেকে রাহু এবং শনির কুপ্রভাব দূর হবে!

নিজস্ব প্রতিবেদন: জীবনে সুখ এবং শান্তি সকল মানুষেরই কাম্য। নিজেদের জীবনের শান্তি বজায় রাখতে সকলেই চান। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এসব পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে আগ্রহী থাকেননা মানুষ। ফলস্বরূপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় আমাদের জীবনে। কিন্তু ঈশ্বরে বিশ্বাসী মানুষেরা এই সব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি লাভ করে থাকেন। বিভিন্ন পূজাপাঠ এবং আচার-ব্যবহার পালনের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই জীবনে উন্নতি সাধন করেন কিছু মানুষ। এমনকি নির্দিষ্টভাবে কিছু নিয়ম পালনের মাধ্যমে যেকোন গ্রহের কুপ্রভাবও দূর করা যায়। মানুষের জীবনে সবথেকে বড় প্রভাব থাকে শনির। বলা হয় যার দিকে শনি নজর দেন তার জীবনে অশনিসংকেত বেজে ওঠে। তাই সব সময় শনিদেবকে সন্তুষ্ট রাখা প্রয়োজন। কিন্তু শুধুমাত্র শনিদেব নয় সাথে সাথে রাহুর প্রভাবও আমাদের জীবনে দেখা যায়। রাহুর প্রভাব এর ফলে মানুষের প্রাণহানি অবধি ঘটতে পারে।
কিছু কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই শনি এবং রাহুকে নিজেদের জীবনে প্রভাব বিস্তার করা থেকে দূরে রাখা যেতে পারে। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন এর মাধ্যমে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সবার আগেই আমরা বলব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা।বাড়ির প্রতিটি অংশ বিশেষত ঠাকুর ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে বাড়িতে কোনো অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। এবং সব সময় পজিটিভ এনার্জি বজায় থাকে। যা একটি সুখী পরিবারের জন্য অত্যন্ত আবশ্যক।দ্বিতীয়ত, দিনের শুরুতেই আমরা অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানাপত্র না গুছিয়েই কাজে লেগে পড়ি। এটি একেবারেই উচিত নয়। বাসি বিছানা ফেলে না রেখে তা অবশ্যই সঠিক সময়ে গুছিয়ে ফেলুন।
তৃতীয়ত, বাইরের কোন জায়গা থেকে ঘুরে এসে যেখানে সেখানে জুতো ছড়িয়ে রাখবেন না। এবং আরেকটি কথা মাথায় রাখবেন জুতো পড়ে কখনোই শব্দ করবেন না। কারণ জুতো পড়ে খটখট শব্দ করলে বাড়ি থেকে চঞ্চলা মা লক্ষী সরে যান।সবসময় বাইরে থেকে এসে হাত পা ধুয়ে পরিচ্ছন্ন হয়ে ঠাকুর ঘরে প্রবেশ করবেন। কারণ দেবতাদের জায়গা শুদ্ধ এবং স্বচ্ছ রাখাই ভালো। খেয়াল রাখবেন যাতে ঠাকুর ঘরে যতটা সম্ভব সূর্যের আলো প্রবেশ করে। চতুর্থত, বাড়িতে শুকিয়ে যাওয়া কোন গাছ থাকা অত্যন্ত খারাপ।তাই অবশ্যই বাড়িতে গাছ থাকলে তাতে নিয়মিত জল দিয়ে সতেজ রাখার চেষ্টা করুন। পঞ্চমত, আচমকা বাড়িতে কোন অতিথির আগমন ঘটলে তাকে সবার প্রথমে জল দেবেন। কারণ বলা হয় অতিথি দেব ভবঃ! অর্থাৎ অতিথির মধ্যেই দেবতাদের বসবাস থাকে।
ষষ্ঠতঃ কখনোই এঁটো বাসন যেখানে-সেখানে ফেলে রাখবেন না।চেষ্টা করবেন খাওয়া শেষ হওয়া মাত্রই তা ধুয়ে ফেলার। সপ্তমত এবং সর্বশেষ নিয়ম হিসেবে আমরা বলব স্নানের সময় কখনই বাথরুমে জামা কাপড় ছড়িয়ে ফেলে রেখে আসবেন না। নিয়মিত দৈনন্দিন জীবনে এই ব্যাপারগুলি সঠিক ভাবে খেয়াল রাখলে কোনরকম গ্রহ জীবনে খারাপ দৃষ্টি দিতে পারবে না। এছাড়াও পারিবারিক সমৃদ্ধির জন্য আপনি নির্ধারিত দিন অনুসারে দেবতাদের পুজো করতে পারেন। যেমন—বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা, শনিবারের শনিদেবের আরাধনা।বাড়িতে ঠাকুরের মূর্তি না থাকলেও তাদের প্রতিকৃতি তৈরি করে পুজো করা যায়। তাই অবশ্যই শুদ্ধ বস্ত্র এবং শুদ্ধ মনে পুজো করলে অবশ্যই আপনি ফল পাবেন।