বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম হাতের লেখার অধিকারী ‘প্রকৃতি মাল্লা’, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও

হাতের লেখা আমাদের সকলের জীবনেই এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।বিশেষত যারা পড়াশোনার সাথে যুক্ত তাদের হাতের লেখা দেখেই অনেক সময় মেধার মান বিচার করা হয়।বলা হয় যার হাতের লেখা যত সুন্দর সে পড়াশোনাতে ঠিক ততটাই মনোযোগী। এর ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকে।সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই আমাদের চোখের সামনে নানান ধরনের ভাইরাল জিনিস ঘোরাফেরা করতে থাকে।

এরমধ্যে অনেক এমন জিনিস রয়েছে, যা আমাদের অবাক করে তোলে।সাধারণভাবে হয়তো কখনোই খালি চোখে এই জিনিস গুলো দেখা সম্ভবপর ছিল না। কিন্তু বর্তমানে দুনিয়া এতটাই ডিজিটাল হয়ে উঠেছে যে, মুহুর্তের মধ্যে আমাদের হাতের মুঠোয় পৌঁছে যাচ্ছে যেকোনো ভাইরাল জিনিস। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানতে পারব, বিশ্বের সবথেকে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী নেপালের এক ছোট্ট কন্যার কথা।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ার পর আপনি অবাক হবেন তা নিশ্চিত। প্রসঙ্গত আমরা সকলেই প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখে থাকি।কিন্তু সকলের হাতের লেখার মধ্যেই ভেদাভেদ থাকে। কারুর হাতের লেখা অনেকটাই সৌন্দর্য্যপূর্ণ, আবার কারুর হাতের লেখা অনেকটাই ছন্নছাড়া।তবে নেপালের অধিবাসী এই ছোট্ট বালিকাটির হাতের লেখা দেখলে যেকোন মানুষ প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন।নেপাল সরকারও এই মেয়েটির হাতের লেখাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।বলা হচ্ছে এটি এখনও অবধি নেপালের সর্বশেষ্ঠ হাতের লেখা।

Image 1, , বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম হাতের লেখার অধিকারী ‘প্রকৃতি মাল্লা’, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে নেপালের অধিবাসী এই মেয়েটির হাতের লেখার ছবি তুলে একব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে সেই ছবিটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠে।সেই ছবিতে হাতের লেখা দেখে এক ঝলকে বোঝা যাবেনা তা হাতে লেখা না কম্পিউটারে। কারণ, এই মেয়েটির হাতের লেখা দেখলে মনে হচ্ছে তা কম্পিউটারের কোন ফন্ট। তার লেখার মাঝখানের ফাঁকা জায়গাগুলি সব সমান।

বলতে গেলে তার হাতের লেখা দেখলে সেখানে কোনো খুঁত বের করা প্রায় অসম্ভব।ইন্টারনেট দুনিয়ায় তার হাতের লেখার এই ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর এই পৃথিবীর সবথেকে সুন্দরতম হাতের লেখার অধিকারী হওয়ার শিরোপা পেয়ে গিয়েছে মেয়েটি।

নেপালে বসবাসকারী এই অভিনব প্রতিভার অধিকারী কন্যাটির নাম প্রকৃতি মাল্ল। প্রকৃতি মাল্ল সৈনিক আওয়াসিয়া মহাবিদ্যার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। তার হাতের লেখা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। শুধুমাত্র হাতের লেখা নয় পড়াশোনাতেও মেয়েটি বেশ মেধাবী ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। এমনকি তার হাতের লেখা দেখে অনেকে মন্তব্য করেছেন, এই লেখা অনেক সময় এমএস ওয়ার্ড এর থেকেও অধিক অংশে নিখুঁত।

চাইলে আপনিও আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে দেওয়া লিংকের মাধ্যমে গিয়ে তার হাতের লেখা দেখে আসতে পারেন। তবে অবশ্যই একটি মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর হাতের লেখাটি বিশ্ব রেকর্ড এও স্থান পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।স্বাভাবিকভাবেই এমন বহুগুণ সম্পন্ন প্রতিভার অধিকারী মেয়েটি ভবিষ্যতে যেন অনেকটাই সাফল্য লাভ করতে পারে আমরা আশা করব।