বিজেপির হাত শক্ত করতে, গোপীবল্লভপুরে তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাল ২৫ টি পরিবার





নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির নজর ছিল বাংলার মসনদের উপর। রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লীর শীর্ষ স্থানীয় নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও- বঙ্গবাসীকে উজ্জীবিত করতে বার বার বাংলায় এসেছিলেন, তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ – তৃণমূলের তোলা এই শ্লোগানকেই বাংলার মানুষ স্বার্থক করেছে। সবুজ শিবির আবারও বাংলার মসনদ দখল করল। হ্যাট্রিক করে আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।




বাংলার ক্ষমতায় তৃণমূল ফেরার পর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়। বিভিন্ন দিক থেকে খবর আসতে শুরু করে, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি নেতা কর্মীদের মারধর করে তাঁদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এখনও হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। যদিও এসমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকেই দেখা গেছে, হেভিওয়েট নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ছোট খাটো নেতা বিজেপির পরাজয়ের পর অনেকেই তৃণমূল শিবিরে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন। বিজেপির বাংলা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গের পরই, গেরুয়া শিবিরের ভিতরে ভাঙন শুরু হয়।




প্রতিদিনই বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপির কর্মীদের দলবদল করে তৃণমূলে যাওয়ার খবর সামনে আসছে। কিন্তু এবার ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে একদম উল্টো ঘটনা দেখা গেল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের ফানিয়ামারা গ্রামের তারকেশ্বর বাড়ির নেতৃত্বে ২৫ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বুধবার সমরায় মুর্মু, খগেন মহাপাত্ররা, স্বপন রথ, সুমন্ত মহান্তি এই নতুন কর্মীদের হাতে তুলে দিলেন বিজেপির দলীয় পতাকা।