আজকেও হেফাজতে থাকতে হবে নারদা মামলায় চার অভিযুক্তকে

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের ৪ নেতার গ্রেফতারে বিনাযুদ্ধে কেও এক চুল জমি ছাড়তেও রাজি নন কেও। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার মধ্যে কড়া সওয়াল জবাব চলছিল। নারদ মামলায় ৮ নেতার জামিন অথবা শাস্তি কিছুই ঘোষণা করলো না কোর্ট।শুনানি আজকের মতো শেষ । ফের আবার শুনানি শোনানো হবে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয়। এমনকী নারদ মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার নেতা–মন্ত্রীর জামিন অথবা মামলা স্থানান্তরের কোন কোথাও জানালো না কলকাতা হাইকোর্ট।
সিবিআই চাইছে যে বিশৃঙ্খলার তত্ত্বকে সামনে রেখে মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তকরণ করে দিতে, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি স্পষ্ট বললেন, গান্ধীবাদী ঘরানায় প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কেন এই প্রতিবাদ? তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক। এই ধরনের ঘটনায় জনতার রোষ দেখাই যায়। সলমন খান–সঞ্জয় দত্তের ঘটনাতেও এমনটা দেখা গিয়েছে এর আগেও। বিচারপতির প্রশ্ন করেন, মানছি, সহকর্মী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তো কিছু সময়ের জন্য যাননি প্রায় ৫–৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে গিয়ে বসে ছিলেন। এই ব্যাপারে আপনি কি বলতে চান? কেন শুনানি চলাকালীন নিম্ম আদালতে ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী? তখন আদালতে দাঁড়িয়ে সিঙ্ঘভি বলেন যে, আইনমন্ত্রী নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু তিনি মন্ত্রীই নন, তিনি একই সাথে বিধায়কও। তাহলে এই ঘটনাকে কেন অস্বাভাবিকভাবে দেখব?
এরপরই কোর্ট রুমে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, আমি ভিডিও প্রুফ দেখাতে পারি যে মন্ত্রীরা নিজাম প্যালেসে বারবার মানুষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। সিবিআই এই সত্যিটা কে চেপে যাচ্ছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অনেক বয়স হয়েছে।জামিন আর নিজাম প্যালেসের প্রতিরোধ দুটি পারস্পরিকভাবেই যুক্তই নয়। এই ঘটনাকে জুড়তে চাইছে সিবিআই অধিকারীকরা সাত বছরের মামলা। পাল্টা তুষার মেহতা জবাব দেন আদালতকে , ইচ্ছাকৃতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো হয়েছিল। সিবিআইকে ভয় দেখিয়েছে প্রচুর দুষ্কৃতী। অনেক মন্ত্রী আদালতে হাজির ছিলেন। এমনকী, আইনমন্ত্রী নিজে আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এটা বিচারব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করার একটা কৌশল মাত্র। অভিযুক্তদের ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়েছিল।অনেক সংখ্যায় জমায়েত ছিল। জবাবে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জবাব দেন অভিযুক্তদের কে না জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল। বিভিন্ন কৌশলে অভিযুক্তদের জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দীর্ঘ শুনানি চলার পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা কি আগামীকাল শুনানি করতে পারি?’ কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল জানান, অভিযুক্তরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ফলে আগামীকাল শুনানি শোনানো হতে পারে।।