সহজেই ছাড়ার পাত্র নন শুভেন্দু, মুকুলকে দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ! এবার নেওয়া হবে পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের নির্বাচনের সময় সবাই এক সাথে লড়াই করেছিল, কিন্তু ফলাফল ঘোষণা পরই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রায় ২০ বছর পর কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন এবং জয়লাভও করেছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু মাস দেড়েক পরই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি।




মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আর দেরি করতে চাইছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই জন্যই তিনি আজ বিধানসভায় তাড়াতাড়ি করে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষ করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গেরুয়া শিবির এবার দলত্যাগী মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আজই তারা চিঠি দিতে পারে, বলে জানা যাচ্ছে।




বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানাবে বিজেপি। আজ শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কেবিনে দলের আইনজীবী ও দুই বিধায়কের সাথে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকেই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটা ঠিক করা হয়েছে।




শুভেন্দু অধিকারী যখন দিল্লীতে ছিলেন তখন তিনি তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, “আমি বিরোধী দলনেতা, তৃণমূল আমার দল ভাঙিয়ে দেখাক।” শুভেন্দুর এই বয়ান দেওয়ার দু’দিন পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। আর এরপরই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবু মুকুল রায়কে বিধায়ক পদ ছাড়ার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও মুকুল রায় বিধায়ক পদ না ছাড়ায় বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



