বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতি পেয়েছেন, মোদী-বৈঠকে শুভেন্দু নিয়ে মমতার আপত্তির পরেই প্রকাশ্যে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদন:বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভাতেও ইতিমধ্যেই সেই স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছেন তিনি। ভোট মিটে যাওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে গেরুয়া শিবির সেই স্বীকৃতিপত্র প্রকাশ্যে আনল।
ঘটনাচক্রে, তার ঠিক আগেই ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতে শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে নবান্নতে আপত্তি তোলা হয়েছে। নবান্নে নয়াদিল্লিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মোদীর বৈঠকে শুভেন্দু থাকলে ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেই বৈঠক করবেন বলে জানিয়ে দেন।ওই আপত্তির কথা জানাজানি হওয়ার পরেই বিজেপি শুভেন্দুর বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতির চিঠিটি প্রকাশ করেছে। যার মাধ্যমে তাকে বুঝিয়ে দিতে চাওয়া হয়েছে, শুভেন্দু ‘স্বীকৃত’ বিরোধী দলনেতা।
যা পদমর্যাদায় মন্ত্রীর সমতুল্য। ফলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলা অনুচিত হবে। বিজেপি-র তরফে শুক্রবার সকালে যে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি গত ১৯মে বিধানসভার সচিবালয় থেকে শুভেন্দুকে পাঠানো হয়। তাতে সপ্তদশ বিধানসভায় ১৩মে থেকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্পিকার নিজেও তাতে সায় দিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। অর্থাৎ ২মে ভোটের ফলাফল ঘোষণার ১১ দিনের মাথাতেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিধানসভায় স্বীকৃতি পেয়েছেন শুভেন্দু।তবে শুভেন্দু দু’সপ্তাহ আগে রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী নেতার স্বীকৃতি পেয়ে গেলেও এত দিন পর্যন্ত সেটি দলীয় তরফে সামনে আনা হয়নি। এখন প্রশ্ন উঠছে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল বিষয়টি জানত কি না।
কারণ, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাতে শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁর স্বীকৃতির বিষয়টি তুলে ধরেছে তারা। বলা হয়েছে, বিজেপি শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করলেও ‘আনুষ্ঠানিক ভাবে’ তিনি এখনও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নন।
দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দুকে বিধানসভা সচিবালয়ের তরফে সরাসরি চিঠি লেখা হয়েছিল। তিনি যে বিরোধী নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছেন, তা বোঝাতে শুক্রবার নিজেই ওই চিঠি সকলকে পাঠান শুভেন্দু। আনন্দবাজার ডিজিটাল এই বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সাড়া দেননি শুভেন্দু। এখন দেখার, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে শুভেন্দু হাজির থাকেন কি না এবং তিনি থাকলে মমতা সেখানে থাকেন কি না।