‘নেকুপুষুমুনু আমার’, তৃণমূলে ফেরার আবদনে সোনালিকে কটাক্ষ শ্রীলেখার

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম থেকেই শ্রীলেখা মিত্রকে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। অভিনেত্রীকে রাজ্যের শাসক দল বা কেন্দ্রের শাসক দল, উভয়ের প্রতিই তীব্র কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে। এবার শ্রীলেখাকে সোনালি গুহকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে । সোনালি গুহ এই শনিবার হঠাৎ করেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন (sonali guha)। একুশের নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষনা হওয়ার পরেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সোনালি গুহ সবুজ শিবিরে দ্বিতীয় বার আসার ইচ্ছা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন জানিয়েছেন।
এদিন তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়ে ছিলাম যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনাটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।’
টুইটটি ভাইরাল হতে খুব বেশিক্ষণ লাগেনি। এক ব্যক্তি টুইটটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মানব জন্ম সার্থক’। সেই পোস্টটিই শেয়ার করে শ্রীলেখার কটাক্ষ, ‘নেকুপুষুমুনু আমার’। কমেন্টে আর একজন আশা ভোঁসলে ও ডি বর্মনের জনপ্রিয় গান ‘ফিরে এলাম দূরে গিয়ে’র কয়েকটি লাইন লিখেছেন। শ্রীলেখা তাতে মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘গান শুনতে পাচ্ছি আর দুজনকে স্লো মোশনে দেখতেও পাচ্ছি’।
কিছুদিন আগেই অক্সিজেন ও বেডের অভাব নিয়ে রাজ্য সরকারের উপরে প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রীলেখা। তিনি তীব্র কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘মরে গেলে ২ লাখ টাকা না দিয়ে সঠিক পরিকাঠামো ও আইসিইউ বেড যুক্ত হাসপাতাল বানিয়ে দিন। এত উন্নয়ন করেছেন যে এই দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে হাসপাতালের একটা বেড পাওয়া যাচ্ছে।