‘গান্ধীজি, নেতাজিও অত্যাচারিত হয়েছিল, আর আমরা তো কোন ছার’, নারদ মামলায় জামিনের পর বলছে তৃণমূল নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ কাণ্ডে ধৃত তিন হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
স্টিং অপারেশনের টানা পাঁচ বছর পর হটাৎ নারদ মামলা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই মাসে এই মামলায় অভিযুক্ত ফিরহাদ হাকিম চেতলার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ওইদিনই আরো তিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র , প্রাক্তন তৃণমূল ও বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেন সিবিআই এর অধিকর্তারা। তাঁদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। তারপর অনেক নাটকীয় ঘটনার পর জেল হেফাজতে রাখা হয় প্রত্যেককে। বর্তমানে যদিও তারা গৃহবন্দি অবস্থাতেই ছিলেন।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ কলকাতা হাই কোর্টে শুনানি শুরু হয়।বিচারকার্যের শুরুতেই সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা দাবি করেন যে, পুরো মামলাটাই শোনা হোক। তবে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের তরফে বলা হয়, মূল আবেদনের সঙ্গে যদি কোনও সংযুক্ত আবেদন থাকে তবে তা ১৪ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হয়। শুনানির শুরুতে সেই একই দাবিতে স্থির থাকেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা। সেই অনুযায়ী শুনানির শুরুতেই অন্তর্বর্তী জামিনের মামলা আগে শোনানো হয়। তারপরই ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ওই চার হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে তাদের ওপর।
হাই কোর্টের তরফে জানানো হয় যে, ওই চার হেভিওয়েটকে মামলার তদন্তকারী আধিকারিকদের সহযোগিতা করতে হবে। বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে যেহেতু নানা বিধিনিষেধ জারি রয়েছে তাই আপাতত ভারচুয়ালি সাহায্য করতে হবে তাঁদের। তবে বিধিনিষেধ খারিজ হওয়ার পর সশরীরে উপস্থিত থেকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হতে পারে। বর্তমানে তাদের আর গৃহবন্দি থাকতে হবে না। বাইরে বেরিয়ে তারা স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন যেমন করতেন। যে কোনও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও আসতে পারবেন ওই চার তারা। তবে এই মামলার বিষয়ে কোনও মুখ খুলতে পারবেন না মন্ত্রী-বিধায়করা।। ঘনিষ্ঠ মহলে রাজ্যের মন্ত্রী তথা এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) বলেছেন, ‘গান্ধীজি, নেতাজিও অত্যাচারিত হয়েছিল। আর আমরা তো কোন ছার।’