যুবরাজ সলমনের উদ্যোগে এবার থেকে রামায়ণ, মহাভারত পাঠ করতে পারবেন সৌদি আরবের পড়ুয়ারা!

নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌদি আরবের স্কুলে পড়ানো হবে রামায়ণ-মহাভারত। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে পড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এরই অংশ হিসেবে সৌদির শিশুরা পড়বে রামায়ণ-মহাভারত।প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশের সৌন্দর্য বহন করে আসছে রামায়ণ এবং মহাভারতের মত গ্রন্থগুলি।এই গ্রন্থ গুলির মাধ্যমে শুধুমাত্র পুরান কথা নয় আমরা সমসাময়িক নানা ধরনের ইতিহাস জানতে পারি।ভারতবর্ষে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই রামায়ণ এবং মহাভারত পাঠ্যক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।এই গ্রন্থ গুলি পাঠের মাধ্যমে শুধুমাত্র মানসিক বিকাশ নয় প্রাচীন ভারতীয় ধ্যান- ধারণা সম্পর্কে অনেকটাই জ্ঞান লাভ করা সম্ভব।
তবে এবার শুধু ভারতের নয়, সৌদি আরবের পাঠ্যক্রমেও অন্তর্ভুক্ত করা হলো রামায়ণ এবং মহাভারত।অর্থাৎ এবার থেকে এই গ্রন্থ গুলির মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন সৌদি আরবের পড়ুয়ারা।এ বার থেকে ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ এবং মহাভারত পড়বেন সৌদি আরবের প়ডুয়ারা। ভারতের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে চেনানোর জন্যই এই পদক্ষেপ রিয়াধের। সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমানের ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ।ধর্ম আলাদা হওয়া সত্ত্বেও তিনি যেভাবে মানুষের হৃদয় এবং সংস্কৃতিকে মিশিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
Saudi Arabia’s new #vision2030 & curriculum will help to create coexistent,moderate & tolerant generation. Screenshots of my sons school exam today in Social Studies included concepts & history of Hinduism,Buddhism,Ramayana, Karma, Mahabharata &Dharma. I enjoyed helping him study pic.twitter.com/w9c8WYstt9
— Nouf Almarwaai نوف المروعي ???????? (@NoufMarwaai) April 15, 2021
তবে শুধুমাত্র রামায়ণ, মহাভারতকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা নয় যুবরাজের এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সৌদির শিক্ষা ব্যবস্থায় একাধিক সংস্কার করা হয়েছে।পাশাপাশি সৌদি আরবের পড়ুয়াদের বিভিন্ন দেশের ধর্ম এবং সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।যোগ, আয়ুর্বেদ-সহ ভারতের সাংস্কৃতিক জগতের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে সৌদি আরবের পড়ুয়াদের পরিচয় করাতে চায় রিয়াধ।
পাশাপাশি এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এই দেশে ইংরেজি শিক্ষা।শিক্ষাব্যবস্থায় এই আমূল পরিবর্তনের ফলে সৌদি আরবের পড়ুয়াদের মানসিক বিকাশে যে অত্যন্ত উন্নতি ঘটবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে নানান ধরনের মতামত রেখেছেন। বেশিরভাগ জনই যুবরাজের এই নতুন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সফলতা কামনা করেছেন।
কারণ দেশ, জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি সবকিছুই আলাদা হওয়া সত্ত্বেও এই ধরনের উদ্যোগ খুব কম মানুষই নিতে পারেন।নৌফ আলমারওয়াই নামের সৌদি আরবের এক যোগ ব্যায়াম শিক্ষক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,”সৌদি আরবের নতুন ভিশন ২০৩০ সহাবস্থানে বিশ্বাসী এবং সহনশীল প্রজন্ম তৈরি করতে সাহায্য করবে। পাঠ্যক্রমে হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, রামায়ণ, কর্ম, মহাভারত এবং ধর্ম যোগ করা হয়েছে”।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আর কিছুদিনের মধ্যেই সৌদি আরবের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এই নতুন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে।