পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় অবসাদ, আ’ত্ম’ঘা’তী দিনহাটার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী





নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার কারণে বাতিল হল জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। ফলে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিল দিনহাটার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মনে হয়েছিল, জীবনের কোনও স্বপ্নই হয়তো আর পূরণ হবে না। আর এই ধারনার পরিণতি হল মর্মান্তিক। ঘর থেকে উদ্ধার হল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ।




জানা গিয়েছে, কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটার আটিয়াবাড়ি আম্বালি বাজারের বাসিন্দা ওই কিশোরী। কিশোরীর নাম বর্ণালী বর্মন। বয়স ১৬ বছর। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিল সে। দিনরাত পড়াশোনায় ডুবে থাকত। সে চেয়েছিল পরীক্ষায় ভালো ফল করে, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাবার পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতি বিবেচনা করে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন চলতি বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না। নাবালিকার পরিবারের দাবি, এই খবর পাওয়া মাত্রই অবসাদ গ্রাস করে বর্ণালীকে। সকলের সঙ্গে থাকলেও কারও সঙ্গে বিশেষ কথা বলছিল না সে।




রাতে খাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেও বর্ণালীর সাড়া পায়নি। এরপরই তাঁরা দরজা ভাঙে। তখনই উদ্ধার হয় বর্ণালীর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, দেহের পাশ থেকে একটি নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে লাল কালিতে লেখাছিল, ”তোমার সব কাজের দায়িত্ব নিতে পারলাম না বাবা।” ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাবালিকার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এই করোনা আবহে ঝুঁকি এড়িয়ে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কি না, তা জানতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির দেওয়া রিপোর্ট ও রাজ্যবাসীর মতামতের ওপর ভিত্তি করে চলতি বছর মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বাতিল করেছে রাজ্য।



