অঙ্গীকার করেছিলেন পাশে থাকার, বাবা-মা হারানো ৪ অসহায় নাবালকের পাশে দাঁড়ালেন চন্দনা বাউরি

নিজস্ব প্রতিবেদন: অঙ্গীকার করেছিলেন সবসময় মানুষের পাশে থাকবেন। আর বিধায়ক হওয়ার পরও সেই কর্তব্যে অবিচল থাকলেন শালতোড়ার বিজেপি (bjp) বিধায়ক চন্দনা বাউরি (chandana bauri)। পাশে দাঁড়ালেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিশিণ্ডা গ্রামের বাবা-মা হারানো ৪ অসহায় নাবালকের।তিনি বলেছিলেন তিনি সবসময় মানুষের পাশে থাকবেন। আর বিধায়ক হওয়ার পড়ে সেই কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন বিজেপির বিধায়ক চন্দনা বাউরী। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে বিসুন্দা গ্রামের বাবা মা হারানোর অসহায় নাবালকের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
এইবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সবথেকে দরিদ্র প্রার্থীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তার স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি নিজে 100 দিনের কাজ করতেন। কোনরকমে বাকুড়া শালতোড়া একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি কাঁচা বাড়িতে বাস করতেন । এমনকি তার বাড়িতে পানীয় জলের কোন সংযোগ নেই । এমন কি কোন শৌচালয় নেই তার বাড়িতে।
বিধানসভা নির্বাচনের পর যখন অন্যান্য বিধায়করা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত ছিল ঠিক তখনই তিনি তা নিরাপত্তারক্ষীদের অতি কষ্টের মধ্যে তাদের সঙ্গে দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় প্রতিবেশীদের নির্মীয়মান বাড়িতে নিজের বাড়ি থেকে জানলা খুলে নিয়ে গিয়ে তিনি লাগিয়ে দিয়েছেন। তাদের বাড়িতে এসবের মধ্যে তার কাছে খবর আসে তার বিধানসভা কেন্দ্রে অন্তর্গত গ্রামে চার ভাইবোন অনাথ হয়ে গিয়েছে তাদের বাবা মাকে হারিয়ে। আর খবর পেতে না পেতেই তিনি ছিলেন তাদের বাড়িতে এবং দেখলেন না খেতে পেয়ে অনাহারে কাটছে তাদের দিন ।
দরিদ্রের জ্বালা চন্দনা ভালই বোঝেন । নিজেও অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের থেকে উঠে এসেছেন । খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে ছুটে যান তিনি ।।এবং তাদেরকে কিছু খাবার মাস্ক স্যানিটাইজার সহ চারজনের জন্য জামাকাপড় নিয়ে যান সেখানে এ বিষয়ে বিধায়ক চন্দনা বাউরি জানান, ‘নিজের কেন্দ্রের সকল মানুষকে করোনা পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে বলেছি। আর আমি এই ৪ অসহায় নাবালকের পাশে আছি। বিডিও সাহেবকে বলব এদের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করার জন্য ’।