নেটিজেনদের প্রবল আক্রোশের ফল, অবশেষে ‘ঔদ্ধত্য’ মেনে বিবৃতি দিলেন রূপঙ্কর





বংট্রেন্ডি অনলাইন ডেস্ক: বিখ্যাত গায়ক কে কে সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। নব্বইয়ের দশকের হিট গান গুলি তিনি আমাদের উপহার দিয়েছিলেন। এহেন কে কে সম্পর্কে প্রতিটি সংগীত প্রেমী মানুষের ক্রেজ থাকা স্বাভাবিক। বহুদিন ধরেই খবর ছিল কে কে কলকাতার বিবেকানন্দ কলেজে অনুষ্ঠান করতে আসবেন। সেই মতো তিনি গত পরশু অনুষ্ঠান করেন। গতকাল অর্থাৎ 31 শে মে তিনি কলকাতার নজরুল মঞ্চে নিজের জীবনের শেষ অনুষ্ঠান করেন। এই অনুষ্ঠানে গান গাইতে গাইতেই তিনি চির বিদায় নেন পৃথিবীর থেকে। তার মৃত্যু সংবাদ সকলের কাছেই শোকের।




কিন্তু অনেকেই এই মৃত্যুর জন্য দোষারোপ করছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী কে। কে কে কলকাতায় অনুষ্ঠান করবেন এই নিয়ে বহু যুবক যুবতীর খুব আগ্রহ ছিল। এই নিয়ে কটাক্ষ করেন রূপঙ্কর বাগচী। ফেসবুক লাইভে এসে তাচ্ছিল্য করেন, জানতে কে এই “কে কে”? তিনি বলেন বাঙালিদের উচিৎ বাঙালি গায়কদের পাশে থাকার। আরও এই ধরনের কথা। এর পরি প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বলেন যে বাঙালিদের এইভাবে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে বা কটাক্ষ করে লাভ হবে না। যে বা যারা ভালো কাজ করবে, ভালো গান গাইবে জাতি, বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে বাঙালি দর্শকরা তাদের পাশে থাকবেই।




রূপঙ্কর বাগচী বলেছিলেন বাংলা সংগীত জগত, বাংলা সিনেমা জগত এদের ছেড়ে বাঙালিরা বলিউড নিয়ে মাতোয়ারা। এর উত্তরে একদল বলেছিলেন বাংলায় ভালো কাজ হলে তা সফল বাঙালি দর্শকরা করবে। কিন্তু শুধুমাত্র “বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান”, “বাংলা গানের পাশে দাঁড়ান” বলে বাঙালিকে যা খুশি একটা বানিয়ে দেখিয়ে দিলেই বাঙালি বোকার মতো তাই দেখবে এমন কখনই সম্ভব না। রূপঙ্কর বাগচীর এহেন লাইভের কিছু সময় পর জানা যায় কে কে -র মৃত্যু সংবাদের। এরপর থেকেই একদল বোধবুদ্ধি হীন কুসংস্কারাচ্ছন্ন না-মানুষ হ্যাজ নামিয়েছেন কে কে -মৃত্যুর জন্য রূপঙ্কর বাগচী দায়ি এই নিয়ে।




স্টার জলসার বর্তমান রিয়ালিটি গেম শো “ইস্মার্ট জোড়ি” তে প্রতিযোগী হিসেবে আছেন রূপঙ্কর বাগচী ও তার স্ত্রী চৈতালী। কে কে এর মৃত্যুর পর থেকেই একাধিক খুনের হুমকি পেয়েছেন রূপঙ্কর। তাই বাধ্য হয়ে এদিন শুটিং ফ্লোর থেকে সোজা বাউন্সার সহ থানায় যান চৈতালী। তিনি সমস্তটা পুলিশকে জানিয়ে এসেছেন।




এরপর শুক্রবার রূপঙ্কর বাগচী কোলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন। এদিন তার স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ীও উপস্থিত ছিলেন। রূপঙ্কর বাগচী সকলের কাছে ক্ষমা চান এবং বলেন যেই ভিডিওর জন্য এত বিতর্ক হচ্ছে তা তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন। এছাড়াও কে কে -র পরিবারকে সমবেদনা জানান। তবে এদিন উপস্থিত থাকা একটি বিখ্যাত অনলাইন পেজ থেকে জানান হয়েছে রূপঙ্কর বাগচী মন থেকে ক্ষমা চাননি।




এরপর রবিবার দক্ষিণ কোলকাতার একটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান করতে যান তিনি। হল উপচে পড়া স্রোতা না থাকলেও বেশ অনেকজনই এদিন অনুষ্ঠান দেখতে গেছিলেন। এমনকি তার গানের তালে অনেকে কোমরও দুলিয়ে ছিলেন। সাকসেসফুল অনুষ্ঠান হওয়ায় তাকে আগের তুলনায় বেশ চনমনে দেখতে লাগছিল।




কিন্তু এখনও অনেকেই তার বিরুদ্ধে আছেন। এমতাবস্থায় রূপঙ্কর বাগচী আবার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তার ফেসবুক লাইভটির সমর্থন তিনি নিজেই করেন না। পরে যখন ভিডিওটি তিনি আবার দেখেন তখন তার মনে হয় এটা তিনি নন বরং তার ঔদ্ধত্য কথাগুলো বলছে। তিনি আবারও সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।



