৩৫০০ গ্রামে ৪০ হাজার হিন্দু আক্রান্ত, এখন চলছে তোলাবাজি, বাংলার হিংসা নিয়ে VHP-র চাঞ্চল্যকর দাবি

বং ট্রেন্ডি ডেস্ক: বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসা বড়োসড়ো আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি তথ্য সবার সামনে নিয়ে আসলো যা সবাইকে চমকে দেওয়ার মতো। VHP দাবি করেছে বাংলার ৩৫০০ গ্রামে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রচুর সংখ্যক তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষ।
VHP-র কেন্দ্রীয় মহামন্ত্রী মিলিন্দ পারান্ডে একটি প্রেস কনফারেন্সে বাংলার হিন্দুদেরকে এই বিষয়ে অবগত করে জানিয়েছেন,” বাংলার অনেক গরীব হিন্দুদের ঘর-বাড়ি, দোকান ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় বর্বরের মতো মহিলাদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেছে। অনেক জায়গায় আবার টাকার দাবি করা হয়েছে এইসব আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে। কিছু জায়গায় আবার জলে বিষ ঢেলে মেরে দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের চাষ করা মাছ। কোন জায়গায় আবার খবর পাওয়া গেছে সাধারণ মানুষের আধার কার্ড,ভোটার কার্ডের মত গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিনিয়ে নেওয়ার। পুলিশ শুধুমাত্র দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।”
সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে ঘরছাড়াদেরকে পুনর্বাসন দেওয়ার, ক্ষতিপূরণের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি আবেদন করা হয়েছে আক্রান্তদের মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এবং তাদের দরকারি নথিপত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। সংগঠন হিন্দুদেরকে এগিয়ে আসতে বলেছে আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য।
বাংলার হিংসা নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কে চিঠি দিয়েছিল VHP। চিঠিতে টিএমসির গুন্ডাদের দ্বারা বাংলার সাধারন হিন্দুদের উপর আক্রমণ রুখতে বলা হয়েছিল রাষ্ট্রপতিকে। VHP-র কেন্দ্রীয় সভাপতি অলোক কুমার রাষ্ট্রপতিকে চিঠিতে লিখেছিলেন,” গোটা দেশ চিন্তিত যেভাবে বাংলার হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে শাসক দলের কর্মী এবং জিহাদিরা তরফ থেকে। দাঙ্গাবাজদের হাতে তুলে দেওয়া হলো বাংলা শান্তিপ্রিয় হিন্দু মানুষদেরকে। এই ঘটনা মনে করিয়ে দেয় মুসলিম লিগের ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে-র।