‘যশ’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন, ব্যস্ততা তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার সকালে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। এমন পরিস্থিতিতে ‘আমপান’-এর অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই ‘যশ’-এর মোকাবিলা করতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আমফানের কথা মাথায় রেখে ‘যশ’ এসে পৌঁছনোর আগেই সব ধরনের ব্যাবস্থা নিয়ে রাখতে চাইছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘যশ’ মোকাবিলায় অতিরিক্ত জেলাশাসক, ৩ পুলিশ জেলার সুপার, মহকুমাশাসক, বিডিও, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন।
উপকূলবর্তী এলাকার সব মানুষকেই ঝড়ের আগে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কোভিড বিধি মেনে তাদের থাকা ও খাওয়ার বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাগরের ১৮, কাকদ্বীপের ১০, পাথরপ্রতিমার ২০, নামখানার ১৬, মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের ৫, গোসাবার ১৯, বাসন্তীর ১৯ এবং কুলতলির ৮— সব মিলিয়ে মোট ১১৫টি সাইক্লোন সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর সাথে সাথে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং কুইক রেসপন্স টিমকে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মীরাও রাখা হয়েছে । সুন্দরবনের নদী এবং সমুদ্র বাঁধগুলির ক্ষয়ক্ষতিও দ্রুত মেরামত করার কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে । প্রতিটি জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও ত্রিপল ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলাশাসক উলগানাথন বলেন, ‘‘গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। সমস্ত রকম আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে পুলিশ, উপকূলরক্ষী বাহিনী, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, সেচ ও বিদ্যুৎ দফতর সমন্বয় সাধন করে কাজ করবে।’’